সর্বশেষ

Wednesday, December 25, 2024

থানা ফটকের সামনে থেকে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি: গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে

থানা ফটকের সামনে থেকে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি: গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে

 


রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় চোরচক্রের সক্রিয়তার কারণে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ থানা ফটকের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে অন্তত ছয়টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চুরি হওয়া মিটার ফেরত পেতে চোরদের নির্দিষ্ট বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বাধ্য করা হচ্ছে। তবে চুরি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


পাঁচ মাস ধরে মিটার চুরি

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর বাগমারা আঞ্চলিক দপ্তর ও ভুক্তভোগীদের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাস ধরে বাগমারা উপজেলায় মিটার চুরির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ছয়টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং সেচপাম্পের মিটার রয়েছে।


চুরির পদ্ধতি

চোরেরা মিটার চুরি করে সাদা কাগজে একটি ফোন নম্বর ও মিটারের নম্বর লিখে রেখে যায়। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে নির্দিষ্ট অর্থ দাবি করা হয়। দরদাম করে টাকা পরিশোধের পর চুরি হওয়া মিটার নির্দিষ্ট স্থানে রেখে যাওয়া হয়। অধিকাংশ ভুক্তভোগী ঝামেলা এড়াতে পুলিশকে না জানিয়ে টাকা দিয়ে মিটার ফেরত নিচ্ছেন।


ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো

বাগমারা উপজেলার বড় বিহানালী, গোবিন্দপাড়া, গণিপুর, যোগীপাড়া, হামিরকুৎসা ও মাড়িয়া ইউনিয়নে মিটার চুরির ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি। গত পাঁচ মাসে অন্তত ৬৮টি মিটার চুরির শিকার হয়েছেন গ্রাহকরা।


অভিযোগ ও কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

অনেক গ্রাহকের দাবি, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরাই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর বাগমারা আঞ্চলিক দপ্তরের মহাব্যবস্থাপক মোস্তফা আমিনুর রাশেদ বলেন, চোরদের অধিকাংশই দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান। প্রথমবার চুরির ক্ষেত্রে মিটারের মূল্যের অর্ধেক বহন করা হয়, তবে একাধিকবার চুরি হলে গ্রাহককে পুরো মূল্য পরিশোধ করতে হয়।


স্থানীয়দের উদ্বেগ

থানার গেটের সামনেই মিটার চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে অনেকেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। কিন্তু চোরদের শনাক্ত করতে মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং বা পুলিশি তৎপরতা যথাযথভাবে কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।


পুলিশের অবস্থান

বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, চোরচক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে থানার সামনেই মিটার চুরির ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত নন।


চুরি ঠেকাতে স্থানীয়দের দাবি

স্থানীয় বাসিন্দারা চুরি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষত চোরদের মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে গ্রেপ্তারের দাবিতে জোর দিয়েছেন তাঁরা।


উপসংহার

বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই করছে না, বরং স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন যাতে চুরির এই ধারা রোধ করা যায় এবং ভুক্তভোগীদের সুরাহা নিশ্চিত হয়।

Friday, December 13, 2024

 শ্রীপুর ভিলেজে স্থায়ী চাকরির সুযোগ, আকর্ষণীয় বেতন ও সুযোগ-সুবিধা

শ্রীপুর ভিলেজে স্থায়ী চাকরির সুযোগ, আকর্ষণীয় বেতন ও সুযোগ-সুবিধা



শিশুপল্লি প্লাস প্রকল্পে প্রজেক্ট ইনচার্জ (আবাসিক) পদে যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য স্থায়ী চাকরির সুযোগ দিয়েছে শ্রীপুর ভিলেজ, বাংলাদেশ।

পদের তথ্য:

  • যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/সমাজবিজ্ঞান/উন্নয়ন অধ্যয়ন)

  • অভিজ্ঞতা: ১২ বছরের অভিজ্ঞতা, ব্যবস্থাপনায় ৬ বছর

  • বয়স: ৪০ থেকে ৫০ বছর

  • কর্মস্থল: শ্রীপুর, গাজীপুর

  • বেতন: ৭০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা (অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে)

  • সুবিধাসমূহ: উৎসব বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বাসস্থানে ভর্তুকি।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪।

Wednesday, December 11, 2024

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও লুটপাট

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও লুটপাট



ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩০টি বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।


আজ বুধবার সকালে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ ঘটে।


সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ২০টি বসতভিটা ও ১০টি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।


কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, "জিন্নাহ সরদারের সমর্থকেরা দেশি অস্ত্র নিয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। পরে আমাদের লোকজন প্রতিরোধ করলে সংঘর্ষ বাধে।"

অন্যদিকে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদার দাবি করেন, "আমি ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলাম। ইব্রাহিমের সমর্থকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে।"


নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফর আলী জানান, "সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস সহকারীর অশোভন আচরণে উত্তেজনা: ৩০টি বাস আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস সহকারীর অশোভন আচরণে উত্তেজনা: ৩০টি বাস আটক



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীর সঙ্গে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসের সহকারীর অশোভন আচরণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে ৩০টি বাস আটক করেছেন।


আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক থেকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় যাওয়ার জন্য ওই ছাত্রী রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। বাসটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১২৩০৪৪। অভিযোগ অনুসারে, বাসের সহকারী প্রথম থেকেই তাঁর সঙ্গে অশোভন আচরণ শুরু করেন।

ছাত্রীটি হাফ ভাড়া ৫ টাকা দিতে চাইলে সহকারী তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। ফুল ভাড়া ১০ টাকা দেওয়ার পরও তিনি কটু কথা শোনান। পরে বাসটি নবীনগর স্মৃতিসৌধ এলাকায় অযাচিতভাবে থামিয়ে রাখলে ছাত্রীটি এর প্রতিবাদ করেন।


ঘটনাটি জানার পর ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো থামানো শুরু করেন। এ সময় এক শিক্ষার্থী আহত হন, যখন একটি বাস থামতে অস্বীকৃতি জানায়। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসচালককে মারধর করেন এবং মহাসড়কে বাসের চাবি নিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেন।


বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া এক যাত্রী আনিসুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রতিদিন মিরপুর থেকে কালিয়াকৈর যাতায়াত করি। এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে। রাস্তার মধ্যে বাস থেকে নামিয়ে দিলে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।”



বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবু সৈয়দ জিন্নাহ বলেন, “বাসের সহকারীর আচরণের বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সমস্যা সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।



বাসের সহকারীর অশোভন আচরণের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও বাস আটকের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।